১.
সীমান্তবর্তী দেশের অন্যতম দূর্গম ও তৃতীয় সর্বোচ্চ চূড়া দুমলং আরোহণ শেষে ফেরার পালা!
রাঙামাটির প্রত্যন্ত আদিবাসী পাড়া পুকুরপাড়ার সকাল|
দূরের নাগ পাহাড়ের মাথায় মেঘের খেলা দেখতে দেখতে আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট সেরে আসলাম| সমান্তরাল দুই পর্বতশ্রেণী লম্বক রো আর রাং-ত্লাং রেজ্ঞের মাঝখানে পুকুরপাড়া ভ্যালীতে তখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি| উপত্যকার মাঝে বিশালাকার পুকুরপাড়া লেকের অপর পাড়ে প্রান্জং পাড়া, ঠিক পেছনেই উঠে গেছে দুমলং , ওপাশে ভারত|
আদিবাসীদের নিষেধ সত্ত্বেও পরবর্তী গন্তব্য বগালেকের পথে রওনা দিলাম|
লম্বকরো ক্রস করে একটানা নিচে নামার ট্রেইল|
তারপর রাঙামাটি -বান্দরবান সীমান্তের রুমা খাল পার হয়ে চড়াই উৎরাই এর প্রায় একদিনের লম্বা ট্রেইল শেষে পৌছাতে হবে বান্দরবানের বগালেকে!
বিগত তিনদিনের টানা বর্ষনে খাঁজে খাঁজে ভাঙন ধরেছে পাহাড়ে| পায়ের চাপে মাঝে মাঝে ঢাল বেয়ে ছোট ছোট ঢল নামছে| ঘন্টা দুইয়ের মধ্যে উঠে গেলাম লম্বক রো এর শীর্ষে| সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ১৪০০ ফিট উচুতে ব্যালকনি টাইপের বড় একটা ঝুলন্ত পাথরে বসে জিপিএস রিডিং নিয়ে নিলাম| নিচে মেঘে ঢাকা ভ্যালী আর ঠিক সোজা দৈত্যাকার দুমলং এর চূড়ার দৃশ্য দেখতে দেখতে তিন তরুণ বিশ্রাম সেরে নিলাম | বাতাসের বেগ বাড়তেই
দ্রুত নামা শুরু করলাম রুমা খালের জন্য| পুরো কাকভেজা হয়ে ঝুম বৃষ্টির মধ্যে অত্যন্ত পিছল জুমের ট্রেইল দিয়ে একটানা নামা শুরু হলো|
দুপুরের আগেই খালের পাড়ে পৌছে গেলাম|
দুর্ভাগ্যের খেলা শুরু হতে সময় লাগলোনা|
..
(চলবে)
পুকুরপাড়া উপত্যকা: https:// www.youtube.com/ watch?v=nwgiFdd_5Uw